গুইমারা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:
জেলার গুইমারা বাজারে ৬টি দোকান ও বটতলী এলাকায় একটি বৌদ্ধ মন্দির আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে।জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।বাজার ব্যবসায়ীদের ধারনা মতে গতকাল দিবাগত রাত ২ টার দিকে বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মাটিরাংগা ও রামগড় ফায়ার স্টোশন ইউনিট এসে টানা ১ঘন্টা চেষ্টার পর ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। বাজার পরিচালনা কমিটি সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গির আলম বলেন ,আগুনে পুড়ে যাওয়া ৬টি দোকানে প্রায় কোটি টাকার অধিক পরিমান ক্ষতি হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন-নিজাম ,মোরশেদ ,তৈয়ব আলী,তোফায়েল ,সাহালম,লোকমান সওদাগর।
এদিকে একইদিনে উপজেলার বটতলী মাষ্টার পাড়া ¤্রাইমুনি বৌদ্ধ বিহারটি সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যাটারী বিষ্ফোরন হয়ে বিহারে থাকা ৬টি বৌদ্ধ র্মূতিসহ নগত ২লক্ষ টাকা ও বিহারের দায়িত্বরত আগাছড়া ভান্তে(মুক্তিযোদ্ধা মংসাজাই মারমা) মুক্তিযোদ্ধা সনদ পুড়ে গেছে। র্দূঘম এলাকা হওয়ায় ফায়ার স্টোশন ইউনিট সেখানে পৌঁচানো সম্ভব হয়নি।
স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিহারটি বাঁশ ও কাঠ দ্বারা তৈরি ছিলো,সবকিছু পুড়ে গেছে।আগুনে পোঁড়া টিনগুলো পড়ে আছে।বৃদ্ধ ভান্তে বিহারের মায়ায় বসে কাঁদছেন।তিঁনি কেঁদে কেঁদে জানান,হঠাৎ সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যাটারী বিষ্ফোরন হয়ে আগুন লেগে এ র্দুঘটনা ঘটে।তার ধারনামতে বিহারের ক্ষতির পরিমান ৩ লক্ষ টাকা। তিনি বিহারটি পূণ র্নিমানে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
স্থানীয় সমাজ র্কমী থইয়ো মারমা জানান,বিহারটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় দায়ক -দায়িকাদের র্ধম পালনে সমস্যা হচ্ছে।এলাকার স্বার্থে বিহারটি দ্রুত সময়ে র্নিমান জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ মারুফ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক মেমং মারমাকে নিয়ে ঘঠনা স্থল পরির্দশন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জেরা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ে সহযোহিতা মূলক ক্ষতিপূরন দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।