উ. কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘের
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবটি ১৫-০ ভোটে পাস হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে নতুন করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। পিয়ংইয়ং সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার পরিশোধিত তেল আমদানি শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত আটকে দেওয়া সম্ভব হবে। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর এক বছরে তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এবারের নিষেধাজ্ঞায় দেশটির তেল সরবরাহ ৯০ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং-এর অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার চীন ও রাশিয়া। দেশটি সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীনের কাছ থেকে। নিষেধাজ্ঞার ফলে পিয়ংইয়ং এখন থেকে বছরে মাত্র পাঁচ লাখ ব্যারেল পরিশোধিত জ¦ালানি আমদানি করতে পারবে। অপরিশোধিত তেল রফতানির ওপরও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন থেকে দেশটি বছরে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রফতানি করতে পারবে। বৈদ্যুতিক সামগ্রী রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চীন-রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার মানুষ কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিভিন্ন দেশে কর্মরত দেশটির প্রবাসী কর্মীদের এক বছরের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাবে। নিরাপত্তা পরিষদ ১৫-০ শূন্য ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব পাস করেছে। বিশ্ব শান্তি চায়, মৃত্যু নয়।’ জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরপরও তাদের বেপরোয়া আচরণ অব্যাহত থাকলে দেশটি আরও শাস্তি পাবে। আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। উত্তর কোরিয়ার বেশকিছু পণ্য রফতানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রস্তাবে বিদেশে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ১৫ জন পদস্থ কর্মকর্তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। এসব ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া তার সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ং-এর দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডের যে কোনও স্থানে আঘাত হানা সম্ভব। সূত্র: বিবিসি, পার্স টুডে।