-
- অপরাধ, সারাদেশে
- শেরপুরে প্রভাবশালীদের অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনে আবাদি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন
- আপডেট সময় December, 30, 2017, 11:34 pm
- 627 বার পড়া হয়েছে
শেরপুরে প্রভাবশালীদের অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনে আবাদি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন
আব্দুস সামাদ আজাদ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর ও নবীগন্জ থানার পারকুল এলাকায় প্রভাবশালী বালু কেখোরা অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনে প্রযোজনিয় রোডম্যাপ, উত্তোলনের পদ্ধতি এবং পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্হা ছাড়াই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শেরপুর এলাকার ব্রাম্মনগ্রাম,মিশিন হাটি, মনৃুখ বাজার,ওসমানীনগরর উপজেলার তাজপুর, লামা তাজপুর,খসরুপুর, আলীপুর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
ফলে এলাকার লোকজন মাথাগুজার ঠাই হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।ভূক্তভূগিরা এ ব্যাপারে মানববন্ধন, সভাসমাবেশ করলে টনক নরে প্রশাসনের।গত ২৫ডিসেম্বর রবিবার কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে নবীগ্ণ্জ উপজেলা প্রাশাসন ঝাঠিকা অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু ভর্তি বলগেট সহ সাতজনকে আটক করে।
আটক বলগেট জব্দ করে সাতজনসহ অবৈধ বালুউত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করেন ইনাতগণ্জ ভূমি অফিসের তহসিলদার আবদুল কাইয়ূম বাদী হয়ে।এর এক সাপ্তাহ যেথে না যেথেই অবৈধ বালু কেখোরা স্হান পরিবর্তন করে ওসমানীনগর থানার আলীপুর নামকস্হানের কিশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করতে গেলে এলাকাবাসী বালু উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করে তিনজনলোককে বালু ভর্তীবলগেট আটক করে রাখে ওসমানীনগর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান,বালু উত্তোলনকারী ও এলাকাবাসীর ভূলবুঝা বুঝির কারনে এ ঘটনা ঘটে।পরে এলাকাবাসী ও বালু উত্তোলনকারীদর সমযোতার মাধ্যমে বিষয়টি শেষ হয়। এ ব্যাপারে খসরুপুর এলাকার আবুল কালাম আজাদ বলেন,অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ও
দির্ঘ্যস্থায়ী বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই ভয়ংকর রুপ ধারন করেছে রাক্ষসী কুশিয়ারা। কুশিয়ারার করালগ্রাসে আজ লন্ডভন্ড পুর্ব তাজপুর, লামা তাজপুর। যুগের পর যুগ ক্রমাগত ভেঙ্গে অবশিষ্ট গ্রামের একতৃতীয়াংশও আজ হুমকির মুখে। বারবার সরকারের উচ্ছ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নেতাদের পরিদর্শন, ফটো সেশন ও আশ্বাসই গ্রামবাসীর সান্তনা। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই।গ্রামবাসীর দাবীর প্রতি কোন সম্মান দেখানো হচ্ছেনা।
নদীর দক্ষিণ পাড়ে নির্মিত বিবিয়ানা বিদ্যূৎ কেন্দ্রের কারনে ইদানিং ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। বিদ্যূৎ কেন্দ্র তাদের পানির প্রয়োজনে নদীর মাঝ বরাবর বড় বড় ট্যাংকি স্থাপন করছে, যা পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধসৃষ্টি করছে।এই ট্যাংকটিতে পানি বাধা পেয়ে উত্তর পাড়ে আঘাত আনছে।ফলে ধ্বসে পড়ছে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি।লোকজন হারাচ্ছে মাথাগোজার টাই।
এ জাতীয় আরো খবর