শেখ হাসিনার রাজনীতি উন্নয়নের –চকরিয়া জনসমুদ্রে ওবায়দুল কাদের
দিদারুল আলম সিকদার কক্সবাজার, জিয়াউর রহমান জিকু, আবছার উদ্দিন চকরিয়া/কক্সবাজার প্রতিনিধি
চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জনসভায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি হচ্ছে জনগনের জন্য, আর বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া ও তাঁর নেতাকর্মীদের রাজনীতি হচ্ছে আগুন সন্ত্রাসে রাজনীতি। তাঁরা ইস্যুবিহীন আন্দোলনের নামে গাড়িতে প্রেট্টোল বোমা মেরেছে। অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এমনকি তাদের আগুনে বাইতুল মোকারম জাতীয় মসজিদের সামনে অন্তত ৬শত পবিত্র কোরান শরীফ আগুনে পুড়েছে।
৪ অক্টোবর শনিবার রাতে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভায় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর অারো বলেছেন, বিএনপির নেত্রী আমাদেরকে আন্দোলনের ভয় দেখায়, তাঁরা তাঁরা বারবার ঘোষনা বদল করে। আবার আন্দোলন করতে এসে তাঁরা ভ্যানেটি ব্যাগে ভরে ওই আন্দোলন নিয়ে বাড়ি ফিরে। আসলে আন্দোলন করার ক্ষমতা বিএনপির নেই, তাঁরা অক্ষম। আবার স্বপ্ন দেখে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, তাঁরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্নেও ব্যর্থ হবেন। তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বেগম জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রানের নামে নতুন করে রাজনীতির খেলা শুরু করেছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের পথসভায় নাকি মানুষের ঢল নেমেছে ? সেতুমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, চকরিয়া বাসটার্মিনালে আওয়ামীলীগের জনসভায় এতো মানুষ আর কোন দিন হয়নি।
দেখে যাও, চকরিয়া-পেকুয়াবাসি আজকের জনসভা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এটাই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার উন্নয়নে এইদেশের মানুষ খুশিতে আছেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্নভাবে আশ্রয় দিয়ে সারাবিশ্বে এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসিত হয়েছে। তার দক্ষ কুটনীতিকের কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মায়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করেছেন।
৪ অক্টোবর শনিবার রাতে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল মাঠে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভায় সংবর্ধনার জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু।
পেকুয়া উপজেলা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ইনশাল্লাহ জনগনের ভোটে আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। দেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে আরো একবার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দরকার। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে যার প্রতি জনগনের আস্থা আছে এবং বিএনপি-জামাতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে এ ধরণের নেতাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সেই ধরণের নেতাকে আমরা দলের মনোনয়ন দেব। তবে আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে চকরিয়া-পেকুয়ার নেতারা দলাদলি পরিহার করুন।
এদিকে বিকাল দুইটার দিকে আওয়ামীলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থক এবং জরসাধারণ মিছিলে মিছিলে পৌরবাস টার্মিনালের জনসভা স্থলের দিকে আসতে থাকে। বিকাল তিনটার মধ্যে জনসভাটি কানায় কানায় পূর্ন হয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে তিল পরিমাণ ঠাই নেই পুরো বাসটার্মিনাল এলাকায়। মানুষের লোকারন্যে হয়ে যায়। মহাসড়কে যানবাহন গুলোতে জটলা লেগে যায়। জনসভা স্থলে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করতে থাকে প্রিয় নেতা সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর জন্য। এরইমধ্যে বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে গান পরিবেশন করে আনন্দে রাখা হয়। রাত ৮টায় জনসভা স্থলে আসেন ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রনজিত দাশ, ইউনুছ বাঙ্গালী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, সাবেক ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুরুল আবছার চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, মোক্তার আহমদ চৌধুরী, অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন, এম আর চৌধুরী, মাতামুহুরী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম বুলবুল, সহ-সভাপতি মকছুদুল হক ছুট্টো, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী,পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিটু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, এমআর চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, চকরিয়া পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শওকত ওসমান চেয়ারম্যান, সাংবাদিক মিজবাউল হক, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিক, চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহিদ, লিটন সিকদার, কাউন্সিলর রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান লিটন, ফরিদুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ হায়দার আলী, সাবেক সভাপতি শেফায়েতুল কবির বাপ্পী, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ও জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ধুলু, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিঠু, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান।
এছাড়াও সভায় চকরিয়া উপজেলা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা, চকরিয়া পৌরসভা এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, আওয়ামীলীগের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ দলের অংসখ্য সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।