September 27, 2023, 8:33 pm

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মালিক ও শ্রমিকদের একাধিক সংগঠনের সকল কর্মসূচি স্থগিত দাফনের দুদিন পর বাবা ও মাকে ফোন করে হাসি বললেন বেঁচে আছি রংপুর বাসি সহ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন সাংবাদিক মাটি মামুন রংপুরের কাউনিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মহসিন আলী (৭৩) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু আষাড় মাসের বৃষ্টি আশ্বিন মাসে অসময়ে বর্ষণে তলিয়ে গেছে রংপুরের নিম্ন অঞ্চল রংপুরে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাসায় তৈরি খাদ্য সামগ্রী ও দেশী পণ্য প্রদর্শনী মেলা’ যাত্রীবাহী বাস তল্লাসি করে  বিদেশি মদ উদ্ধার, আটক ১ জন মৌলভীবাজারে ডিবির অভিযানে ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ কুড়িগ্রামে দুদিন ধরে বৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত এক যুগ পর চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বই দায়ী: যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বই দায়ী: যুক্তরাষ্ট্র

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বর অভিযানের জন্য মিয়ানমারের জেনারেলরাই দায়ী।

তবে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে কি না, তা স্পষ্ট করেননি টিলারসন। গত ২৫ অগাস্ট থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গ্রামে ওই অভিযানে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মত অপরাধের অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ছয় লাখে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে নোবেলবিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে সব সময়ই সমর্থন দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি কৌশলগত কারণে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ওয়াশিংটন সব সময় সু চির সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে গেছে।

কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছেও এখন সমালোচিত হচ্ছেন সু চি। গত বুধবার ওয়াশিংটনে টিলারসন বলেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার খবর আসছে, বিশ্ব তা দেখেও চুপ করে থাকতে পারে না।

রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘দারুণভাবে উদ্বিগ্ন’ জানিয়ে তিনি বলেন, “যা ঘটছে সেজন্য আমরা মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকেই দায়ী করব। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ জন আইনপ্রণেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে লেখা এক চিঠিতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। আর রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য যারা সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী, তাদের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে কড়াকড়ি আরোপের দাবি জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। দীর্ঘদিন সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারের ওপর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০১৫ সালে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার সময় যুক্তরাষ্ট্র সেসব কড়াকড়ি তুলে নেয়। টিলারসনকে লেখা ওই চিঠিতে যারা সই করেছেন, তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি ও বিরোধী দলে থাকা ডেমোক্রেটিক পার্টি- দুই দলের সংগ্রেস সদস্যরাই আছেন। চিঠিতে বলা হয়, রাখাইনে সহিংসতা বন্ধের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

টিলারসন বলেন, মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের নিয়ে যে একটি সমস্যা আছে তা ওয়াশিংটন জানে। কিন্তু সেনাবাহিনীকে অবশ্যই সুশৃঙ্খল থাকতে হবে এবং সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে সংযমের পরিচয় দিতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের ওই এলাকায় যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে, যাতে আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব অভিযোগ এসেছে, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে কাউকে না কাউকে এর দায় নিতে হবে। মিয়ানমারের ভবিষ্যতকে তারা কোন পথে ঠেলে দিতে চায়, তা এখন তাদের সেনা নেতৃত্বের ওপেই নির্ভর করছে। টিলারসন বলেন, ওয়াশিংটন মিয়ানমারকে একটি উদীয়মান গণতন্ত্রের দেশ হিসেবেই দেখে। কিন্তু সেখানে সামরিক-বেসামরিক ক্ষমতা ভাগাভাগির যে মিশ্র সরকার রয়েছে, তার জন্য এই রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি অগ্নি পরীক্ষা।

রয়টার্স লিখেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনা কর্তকর্তাদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনী ও সু চি সরকারের মধ্যে টানাপড়েন বাড়বে কি না, মিয়ানমারের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে কি না- সে বিষয়গুলোও ভাবতে হচ্ছে।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর