September 21, 2023, 8:50 pm

সংবাদ শিরোনাম
রংপুরে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মেয়েসহ স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হিমাগার মালিক ব্যবসায়ী প্রতিনিধির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রংপুরে ক্লাব ফুট বা মুগুর পা চিকিৎসা সেবা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে যুবলীগ নেতার গন সংযোগ ও লিফলেট বিতরণ ভোলায় ১টি লোহার তৈরি পিস্তল ও ০৩ রাউন্ড গুলি সহ আটক ০১ মহেশপুর দত্তনগর কৃষি খামারের ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ভূমি কর্মকর্তার বদলিত শুনে ‘সরকারি জাযগা দখল করে মার্কেট চালু। প্রাথমিক শিক্ষা পদকে রংপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাহিদ তামান্না জগন্নাথপুরে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে পোনামাছ অবমুক্ত সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানি করা হবে

বহির্নোঙরে জাহাজের সুষ্ঠু ব্যবহারে নতুন উদ্যোগ

বহির্নোঙরে জাহাজের সুষ্ঠু ব্যবহারে নতুন উদ্যোগ

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাগরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে লাইটার জাহাজের অনেকগুলো সংকট সমাধান হবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। এ উদ্যোগগুলো হচ্ছে, আগামি মৌসুমে বহির্নোঙরে জাহাজ হতে দ্রুত লাইটারিং করতে লাইটারেজ জাহাজ সরবরাহে অগ্রাধিকার দেয়া, নতুন জাহাজ আমদানির সুবিধার্থে নির্ধারিত সময়ের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া, সিইউএফএলের জেটিতে সার খালাসের পদক্ষেপ নেয়া, সার খালাস সহজতর করতে বিসিআইসি ও বিএডিসির মধ্যে সমন্বয় করে নীতিমালার পরিবর্তন করা। ওই সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তবায়ন হলে আগামি মার্চের মধ্যে সদরঘাট এলাকায় ৪শ’ মিটার লাইটারেজ জেটিতে চারটি এবং ৭৫ মিটারের অতিরিক্ত আরেকটি জেটিসহ মোট ৫টি জেটির কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। সূত্র জানায়, উপর্যুক্ত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামি এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লাইটার জেটি সংলগ্ন এলাকাটি ড্রেজিং করা হবে। এতে আগামি মার্চের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিটার লাইটার জেটি অপারেশনে যেতে পারে। এছাড়াও সংকট সমাধানে আরেকটি ৭৫ মিটারের জেটিও তৈরি হয়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন ইনকনট্রেড কন্টেনার ডিপোর পেছনে অন্তত ১৬ একর জায়গা জুড়ে আরেকটি লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হবে। আগামি ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আরো ৪টি জেটি তৈরী হবে। এবার জরুরী খাদ্য এবং সারকে প্রাধান্য দেয়া হবে। অন্যথায় সার নিয়ে দেশে সংকট তৈরি হতে পারে। এজন্য পুরোনো জাহাজ আমদানির জন্য স্বল্পসময়ের মধ্যে ডিউটি মুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে আলাপ করা হবে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজুল হক শাহ বলেন, বহির্নোঙরে কোনভাবে কার্গো ভ্যাসেলের জটিলতা সহনীয় পর্যায়ে আনা যাচ্ছে না। এর আগে ৯০ লাখ থেকে এক কোটি টন কার্গো আমদানি হতো। কিন্তু বর্তমানে কার্গো আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় লাইটারেজ ও জেটি বৃদ্ধি পায়নি। লাইটারেজের সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। জাহাজ মালিকরা চাইলে দুই মাসের মধ্যে জাহাজ আমদানি করতে পারবেন। এজন্য শূন্য ডিউটিতে জাহাজ আমদানির সুযোগও করে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশ প্রতিনিয়ত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে নিয়মিতভাবে কার্গো আমদানিও বাড়ছে। সুতরাং জরুরি ভিত্তিতে লাইটারেজ জাহাজ সংযোজন করতেই হবে। তবে লাইটারেজ তৈরি কিংবা আমদানি করার বিষয়ে নীতিমালা আরো সহজতর করা প্রয়োজন। মাদারভ্যাসেলগুলো বহির্নোঙরে বেশিদিন অবস্থান করার কারণে ডেমারেজ হিসেবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমরা যেটা আয় করছি, সেটা আবার বিদেশেই চলে যাচ্ছে। এতে করে দেশ নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক একে সামশুদ্দিন বলেন, সার সরবরাহে সংকট কিছুটা কেটেছে। গত ১০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে সার পরিবহনের জন্য ডব্লিউটিসি থেকে ৪৭টি লাইটার চাওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে পাওয়া গেছে ৪৩ টি। আর খালাস হয়েছে ১৭টি, খালাস চলমান আছে ৯টি এবং খালাসের অপেক্ষায় আছে আরো ১৬টি লাইটার। বহির্নোঙরে জাহাট জটের কারণে পরিবহন খরচ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। বিসিআইসি’র জেনারেল ম্যানেজার মো. মনজুর রেজা বলেন, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন সার প্রতিবছর আমাদের আমদানি করতে হয়। প্রয়োজনের কারণে ব্যাগিং ছাড়াই আমাদের বাল্কে সার আমদানি করতে হচ্ছে। বর্তমানে ইউরিয়া নিয়ে ৮টি, এমওপি সার নিয়ে ৬টি, টিএসপি নিয়ে ৭টি এবং ডিএপি নিয়ে ৮টি মাদারভ্যাসেল রয়েছে। লাইটার জাহাজ সংকটের কারণে সাম্বা নামের জাহাজটির ১১ হাজার দুইশ’ টন সার খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর