ফরিদপুরে স্কুলের নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোড়কদি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের প্রবাসী জাকির হোসেন খানের কন্যা ও রামদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১০) ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও একই গ্রামের সালাম শেখের পুত্র শরিফুল সেক (৩০) এর বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিচার চেয়ে ঐ ছাত্রীর মা হাসিনা বেগম মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর গত মঙ্গলবার আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময়ঐ ছাত্রী পাঠ গ্রহনের জন্য বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে নৈশ প্রহরী শরিফুল কৌশলে তাকে বিদ্যালয়ের চিলেকোঠায় ডেকে নিয়ে কলাপসিবল গেট চাপিয়ে দিয়ে ছাত্রীটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতাহাতির করে এবং একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে ফ্লোরে শোয়ানোর চেষ্টা করলে ছাত্রীর চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে লম্পট নৈশ প্রহরী নিচেই নেমে আসে। ঐ ছাত্রী দৌড়ে বাড়ীতে গিয়ে মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তাৎক্ষনিক ভাবে ছাত্রীর মা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সহকারী শিক্ষিকা আলেয়া বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন আমরা তদন্ত করে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করব। বিদ্যালয়ের একজন নৈশ প্রহরী একজন শিশু ছাত্রীর সাথে এধরনের ব্যবহার গ্রহন যোগ্য নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করব। ঐ বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা উজ্জ্বল বিশ্বাস এ ব্যাপারে বলেন আমরা অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। এটি ইউ এন ও বরাবর করা হয়েছে এবং আমাদেরকে অনুলিপি দিয়া হয়েছে ইউএনও স্যার আমাদের দায়িত্ব দিলে আমরা তদন্ত করব না দিলে আমার আমাদের মত তদন্ত করে ইউএনও স্যারকে রিপোর্ট পেশ করব। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বেগম বলেন আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমার উপরন্ত অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সরোয়ার হোসেন জানান আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ ছাত্রী ও তার মায়ের সাথে কথা বলেছি এবং ঘটনা সত্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।