নিহতের স্বামী জুয়েলকে ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পলাতক
রয়েছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে যশোর সদরের আরবপুর
এলাকায় ঘটে।
পুলিশ বলছে, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তবে,
যহেতু এটি স্পর্শকাতর ঘটনা, সে কারণে পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।
নিহতের ছোট ভাই সোহেল রানা অভিযোগ করেন, যৌতুকের টাকার কারণে তার দুলাভাই
বোনের শরীরে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আরবপুর এলাকায় জুয়েলের নিজ বাড়িতে ঘরের
ভেতরে আটকে রেখে গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয়।
এরপর আগুন দিলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে এবং যশোর জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনায় রেফার করেন
সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা।
সেখান থেকে শিরিনাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো
হয়। যাওয়ার পথেই তিনি রাত ১০টার দিকে মারা যান।
সোহেল রানা বলেন, বোনের মরদেহ বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে
রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই জুয়েল পলাতক রয়েছে।
জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার
থেকে গ্যাস বের করে গৃহবধূ নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
জুয়েল যশোর শহরের আরবপুর এলাকার বাসিন্দা।
তিনি খয়েরতলা এলাকার একটি পেট্রল পাম্পের কর্মচারী ছিলেন। ইতোপূর্বে
জুয়েল আরো একটি বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীকেও তিনি হত্যা করেন বলে সোহেল রানা
দাবি করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা
জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়ে দুই
ধরনের বক্তব্য পাচ্ছি।
বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। জানতে চাইলে যশোর
জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, দাহ
পদার্থে ওই নারীর শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক
হওয়ায় তাকে খুলনা রেফার করা হয়েছিলো।