দেশর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হবে কেরানীগঞ্জে: নসরুল হামিদ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ¦ালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কেরানীগঞ্জবাসীর সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো, এই এলাকার মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। কেরানীগঞ্জের বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করে দিয়েছি। কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে এখানকার সবার আশা থাকবে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়তে পারে। কেরানীগঞ্জবাসী যে কত ভাগ্যবান তা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় বানাবো যেটা বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হবে। শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করা হবে। কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে লেক থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা দেখে বলেছেন, ‘এতো সুন্দর নকশা এর আগে আমি কখনও দেখিনি।’ এখানে প্রচুর গাছপালা থাকবে। পুরো প্রাকৃতিক পরিবেশ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হল থেকে আরেক হলে যাওয়ার জন্য ট্রাম চলাচল করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করে আবার পুনরায় ব্যবহার করা হবে। নদীর পাড়ে ঘাট ও জেটি থাকবে। বসিলাতেও একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন রহমান প্রমুখ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, যে জায়গায় আজকের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে, সেটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং কেরানীগঞ্জবাসী কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়েছেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে। কিন্তু এই কথাটির সঙ্গে আমি একমত নই। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর আন্দোলন করেও পাওয়া যায় না। সেখানে কেরানীগঞ্জবাসী না চাইতেই একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে। সুতরাং কেরানীগঞ্জবাসী অনেক সৌভাগ্যবান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ১৮৮ একর। যার মূল্য ৮৯৯ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩২ টাকা। অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে প্রথম কিস্তিতে এদিন ৪০ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মোট ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৫ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মাল্টি অ্যাগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষে পাঁচটি চেকের বিপরীতে ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন ইস্ট-ওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের (ইডব্লিউপিডি) এজিএম (ল্যান্ড পারচেজ) মোহাম্মদ মহসিন মিয়া।