ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা শেষ হওয়ার পরও গত ৬ দিনে কুড়িগ্রামের উলিপুরের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পরছে জাটকা ও মা ইলিশ। দাম কম হওয়ার দেদারছে কিনছে ক্রেতারা। সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত ৫ দিনে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। ইলিশের পেটে এখনো পরিপক্ক ডিম রয়েছে। এতে করে ডিমওয়ালা মা ইলিশে ছেয়ে গেছে। উপজেলার হাট- বাজারে। দাম রয়েছে স্বার্ধের মধ্যে।আগে যে ইলিশ প্রতি কেজি ৮‘শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হত এখন সেই ইলিশ সাড়ে ৩‘শ থেকে ৪‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ১ থেকে ২২ অক্টোবর সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার কিন্তু ওই সময় অনেক ইলিশ ডিম ছাড়েনি। জেলেরা জানায়, নিষেধাক্কার সময় ডিম ছাড়তে পারেনি এসব মা ইলিশ। তাই নদিতে জাল ফেললেই ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে সরকারের নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞার সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বি¯তৃত নদী জুড়ে কেবল জেলেদের ইলিশ ধরা নৌকার সমারোহ। জাল, রশি, নৌকা ও ড্রাম নিয়ে সব বয়সি জেলে এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন ইলিশ আহরনে। দিবা-রাত্রি মাছ শিকার করে চলছে। বেকারত্ব দূর হওয়ায় জেলে পল্লী গুলোতে যেন প্রান ফিরে এসেছে। নিবিঘেœ চলছে মাছ ধরার উৎসব। এবার ব্রহ্মপুত্র নদে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে প্রচুর ইলিশ মাছের সন্ধান মেলায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে জেলেরা। গত ২২ দিন বেকার থাকার পর ব্যাপক ইলিশের সাড়া পাওয়ায় অতিতের কষ্ট ও ঋণ পরিশোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে জানালেন জেলে কাজল কুমার। তারা জানান, অনেকেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেনি, অভিযান থাকা সত্ত্বে কৌশলে মাছ ধরেছে জেলেরা। তারা আরো জানান, বাঁধা পেরিয়ে মা ইলিশ গুলো অবাধে ডিম ছাড়তেই বেড়েছে এবার ইলিশের প্রাচুর্য। হাতিয়া ইউনিয়নের প্রবীন জেলে হরাধন বর্মন বলেন, ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদীতে এবারের মত এত ইলিশ চোখে পড়েনি।