এনায়েতপুরে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী ওরস ৫জানুয়ারী
মোঃ ইকবাল হাসান সরকার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
উপমহাদেশের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা,১২পীরে আওলীয়ার খলিফা,ওলিয়ে-কামেল সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের হযরত শাহ সুফি খাজা বাবা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী(রঃ) এর ১০৩ তম বাৎসরিক ওরস আগামী ৫ জানুয়ারী শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী ওরসের ৭ জানুয়ারী রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সম্পাপ্তি হবে। এ উপলক্ষে সারাদেশসহ তথা ভারতের আসাম হতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক মানুষের আগমনে মুখরিত হবে এনায়েতপুর দরবার শরীফ এলাকা। তাই এ দরবার শরীফের কর্র্র্তৃপক্ষ ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন আগে থেকেই বিশেষ প্রস্ততি গ্রহন করেছে। যার শেস মুহুর্তের কাজ চলছে দরবার শরীফ তথা পুরো এনায়েতপুর জুড়ে। সংশ্লিষ্ট সূএে জানা গেছে,প্রথমবার ১৯১৫ সালে তৎকালীস দরবার শরীফের গদ্দিনশীন হজুর পাক খাজা বাবা ইউনুছ আলী(রহঃ) তার কয়েকজন ভক্তদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ওরস করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। সে বছর স্বল্প পরিসরে কয়েকশ অনুসারী নিয়ে শুরু করা হয় বাৎসরিক ওরস। উক্ত দরবার শরীফে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফকে সাজানো হয়েছে চমকপদ বর্ণিল সাজে। এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ সড়কে করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিশাল আকুতির দৃষ্টিনন্দন তোরন ও দরবারে প্রবেশ মুখে তিন কিলোমিটার জুড়ে আলোকসজ্জা। যা অতীতের সব বর্ণাঢ্যতাকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বারে প্রায় চার শতাধিক মানুষ গত দুই মাস আগে থেকেই দরবার শরীফের মাজার,মসজিদ,গদ্দিনশীন হুজুরপাকের বাড়ি,অফিস ও আশপাশের এলাকায় রঙ ও বিদ্যু॥তের ব্যবস্থা করছে। এ ছাড়াও ওজু-গোছরের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ,খাবার মাঠ সংস্কার,লাক্ষ লাক্ষ নারী-পুরুষ জাকেরদের থাকা-খাওয়ার আলাদা আলাদা ব্যবস্থা হচ্ছে। সুবিশাল ধারার মাঠটিতে এক সঙ্গে এক বৈঠকে ১৫ হাজার মানুষ খেতে পারবে। চারটি পাকশালায় ২০০টির মতো চুলায় চলবে সর্বোক্ষন রান্নার কাজ। এতে ৫শতাধিক বাবুর্চি স্বেচ্ছাশ্রমে রান্নার কাজে নিয়োজিত থাকবে। খাবার পরিবেশনে লক্ষাদিক মাটির থালার সানকি রাখা হয়েছে প্রস্তত। এ ব্যাপারে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে,এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ভক্তদের আগমন ঘটবে এই ওরস শরীফে। এ ব্যাপারে এনায়েতপুর মাজার শরীফ কর্তৃপক্ষের হামিদুল হক,মাওলানা আব্দুল আওয়াল,মাহফুজুর রহমান(বাবলু),আনছার কমান্ডার,আনিছুর রহমান ও লিটন সরকার জানান,এবার শীতের প্রকোপ কম থাকায় জাকেরদের আগমন বেশী হবে। তাতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটবে। তাদের জন্য সবরকম ব্রবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এ সময় আগত ভক্তদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে নেওয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি এনায়েতপর দরবার শরীফে নিয়োজিত চৌকস আনসাররাও এ কাছে অংশ গ্রহন করবে। এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান,জাকেরদের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং এর জন্য উল্লেখযোগ্য স্থান এবং চারটি গেটে বসানো হবে অন্নুত অর্ধশত সিসি ক্যামেরা। পাশাপামি নিরাপত্তায় অংশ নেবে পুলিশ,আনসার,ডিবি পুলিশ এবং দরবার শরীফের নিজস্ব মোজাদ্দেদায়া আনসারসহ ছয়শতাধিক নিরাপত্তা কর্মী। আগামী ৭ জানুয়ারী রবিবার সকার ৯টায় দরবার শরীফের বর্তমান গদ্দিশীন হুজুরপাক হযরত খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্বমানবতার মঙ্গল কামনা করে ধর্মীয় মহাসমাবেশের সম্পাপ্তি হবে।