March 29, 2024, 7:24 am

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩০ মৃত্যু

ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ

 

দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯। ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৫ নমুনা পরীক্ষা নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টার পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমি ৬৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ২১ ৪১ হাজার ১৮৯ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ ৬ হাজার ৩৬২ জন এবং মোট সুস্থ ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন।

শনিবারের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ হাজার ৭৭২ জনের দেহে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮৫ জনের। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জনের।

প্রতিদিনই ভাঙছে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। ১১ জুলাই ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। ১০ জুলাই ছুটির কারণে কিছুটা কম হলেও ৯ জুলাই ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আগের দির ৮ জুলাই ১৯৯ ও ৭ জুলাই ২০১ জনের মৃত্যু হয়।

এর আগে, গত এপ্রিলের রেকর্ড ভেঙে ২৭ জুন একদিনে ১১৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তার চার দিনের মাথায় ১ জুলাই ১৪৩ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়। তিন দিন পরেই ৪ জুলাই আবারো সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যু দেখে দেশ। পরের দিনই ৫ জুলাই ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়। ৭ জুলাই তা এক লাফে বেড়ে ২০১ জন হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ১৯৯ জনের। শুক্রবার রেকর্ড ২১২ জনের মৃত্যু হলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত ৩০ শতাংশের বেশি হচ্ছে।

বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জেলা করোনার ভয়াবহতার ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৪ থেকে ২০ জুন নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।

এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটলে গত ১৫ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পরের এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটাতে মাত্র দশ দিন সময় নেয় করোনাভাইরাস; মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল।

তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার এক মাস পর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। এর ১৫ দিন পর ২৬ জুন এই সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৪ জুলাই ১৫ হাজার ছাড়ায় মৃত্যু। মাত্র ছয় দিনে আজ শুক্রবার মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়াল।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এরপরও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

//ইয়াসিন//

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর