এইচ এম জসিম উদ্দিন, মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ ১৬ বছর পর কাল রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল। গত ২ মাসের বেশি সময় ধরে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠানকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ব্যাস্ত সময় পার করেছেন। অবশেষে উপজেলার শীর্ষ দুই পদে নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাল অবসান হতে যাচ্ছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন জানান, এবারের কাউন্সিলে তৃণমূলসহ মোট ৬০৯ জন কাউন্সিলর অংশ নেবেন। এ ছাড়া কাউন্সিলে সমগ্র উপজেলার ১৭ টি দলীয় ইউনিট থেকে অন্তত ১০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটবে।
মোরেলগঞ্জ কাপুড়িয়া পট্টি পৌর পার্কে সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি। প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হেসেন, প্রধান বক্তা থাকবেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলনের সভাপতিত্বে সম্মেলনটি সঞ্চালন করবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ঘিরে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমেজের কমতি নেই । কাউন্সিল সফল করতে মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পৌর সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের পর বৈঠক করছেন। ২০০৩ সালের ২৬ জানুয়ারি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলনকে সভাপতি ও এম এমদাদুল হককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। আজকের কাউন্সিলে মোট ৬০৯ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থেকে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। তবে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত হবার সম্ভাবনার কথা জানিয়েন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম।
এবারের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, সভাপতি পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী খান। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, পৌর সভাপতি ও মেয়র এ্যাডভোকেট মো. মনিরুল হক তালুকদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নাম শোনা যাচ্ছে। আজকের কাউন্সিলে নিজ থেকে প্রার্থী হবার বিষয়ে আগ্রহী নন বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন। তবে তৃণমূল নেতা-কর্মী ও অধিকাংশ কাউন্সিলর দলের ঐক্য ও মজবুতির সাথে তাকেই সভাপতি হিসেবে পেতে চান। এ পরিস্থিতিতে তৃণমূলের চাহিদা পূরণে নেতা-কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন করতে গিয়ে আবারও তিনি সভাপতি পদে থেকে যেতে পারেন বলে এমন মতামত জানালেন তৃণমূলের বেশ কয়েক নেতা।
নেতা-কর্মীদের কারও কারও ধারণা এবার নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভোট নাও হতে পারে। দলের ঐক্য ও মজবুতির স্বার্থে সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।