আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সভাপতি নির্ভীক সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ।
জানা যায়, বুধবার সকালে একটি সংগঠনের নতুন করে ভারাটে কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানিয়ে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী কমিটি গঠনের পায়তারা চালানো হয়। সেখানে ঐ সংগঠন সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যকলাপ মেনে না নিয়ে নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখান করা হয়। প্রস্তাবকারী সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বেলা দেড়টায়। তার আগে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠান কার্যক্রম সমাপ্তির সময়সীমা নির্ধারিত ছিল আয়োজকদের। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিজ্ঞ আদালতে ঐ সংগঠনের কমিটি সংশ্লিষ্ট মোকদ্দমা চলে আসার পর নিষ্পত্তি হয়। উক্ত মোকদ্দমার ২নম্বর বিবাদী ও এরপূর্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক (১ম) ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক। সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন একইভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ছিলেন উক্ত মোকদ্দমার বিবাদিপক্ষের। অত্র ক্লাব’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনটি পরিচালনা পর্ষদের বিভিন্ন পদে কৃতিৃত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক ও আনোয়ার হোসেন কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করলেও আবু বক্কর সিদ্দিকের পক্ষে আগত সমর্থন প্রত্যাখান করে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন- ‘আমি কমিটি গঠন উপলক্ষে আসিনি, কোন পদ-পদবী চাইনা। কারণ, গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কোন কার্যক্রম আমি মেনে নিতে পারি না। তাছাড়া, সদস্য পদ না থাকা স্বত্বেও সম্পাদনা পর্ষদে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসা এসব ব্যক্তির সাংবাদিকতা নিয়ে নানান প্রশ্ন বিদ্যমান, তিনি সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন’। অথচ, সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিককে সাধারণসম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ও আনোয়ার হোসেনকে বক্তব্য দানের স্থলে রেখে নানাভাবে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক ও আনোয়ার হোসেন পৃথক পৃথক বক্তব্যে জানান, ২০১২ সালে ১৮ মার্চ চৌকশ সাংবাদিকদের সমন্বয়ে সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ক্লাব’র কার্যক্রম যথানিয়মে চলে আসছে। বিগত ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐ সংগঠনের বিতর্কিত কমিটির কার্যক্রম প্রত্যাখান করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ব্যপারে বিজ্ঞ আদালতে মোকদ্দমার ২নং বিবাদী থাকায় আবু বক্কর সিদ্দিক কোন পদত্যাগ পত্র জমা দেননি। আর একইভাবে ছিলেন রিপোর্টার্স ক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। মোকদ্দমার বাদী এডভোকেট আঃ হামিদ মিয়া ঐ সংগঠনের সভাপতি হিসেবে মোকদ্দমাটি আনায়ন করেছিলেন। মোকদ্দমা পূর্বের বেশকটি কমিটিতে আবু বক্কর সিদ্দিক সদস্য পদ ছাড়াও যেসব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-আহ্বায়ক উল্লেখযোগ্য। আর আনোয়ার হোসেন কার্যনির্বাহী পর্ষদ সদস্য ছিলেন। সে সময়ের ১৭ জন সদস্য সহ আরও ৪ জন সদস্য মিলে ২১ জন সাংবাদিকের সমন্বয়ে সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাই এ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে এ ধরণে আর কোন ক্লাব’র কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত যৌক্তিকতা নেই। তাই তাঁরা এ ঘৃণীত বিভ্রান্তির জন্য তিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।