March 19, 2024, 11:27 am

সংবাদ শিরোনাম
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৭ কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় পুলিশ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত মানুষ র‍্যাবের অভিযানে রাজশাহীর বানেশ্বরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের সময় চক্রের মূলহোতা’সহ গ্রেফতার- ৩ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলবদ্ধ হামলা লুটপাট ও ভাঙচুর, রমেকে ভর্তি র‍্যাবের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ফেন্সিডিল ও নগদ অর্থ উদ্ধার’ ০৮ পেশাদার জুয়ারী ও মাদকসেবী গ্রেফতার চিনিকলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতারের সাবেক শিল্পী নাজমুল ইসলামের ইন্তেকাল

সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরে চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরে চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরে চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, কার্যকরী কমান্ড চ্যানেল সশস্ত্র বাহিনীতে লক্ষ্য অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সকল স্তরের কমান্ডারদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও তাদের প্রতি অনুগত থাকলে যে কোন কাজ দক্ষতা, শৃংখলা ও নৈপুণ্যের সাথে স¤পন্ন করা সম্ভব। শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। সেনা সদস্যদের শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্রবাহিনীকে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে এই বাহিনীর সদস্যদের চেইন অব কমান্ড সবসময় মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের অধীনস্থদের সুযোগ-সুবিধা দেখতে হবে। আবার অধীনস্থ যারা তারাও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করবে সেটাই আমি আশা করি। কারণ, এটা যেহেতু সুশৃঙ্খল বাহিনী, কাজেই এর কমান্ড ঠিক থাকতে হবে এবং সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে চলতে হবে, তাহলেই যেন কোন লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে পারবো, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করেছি ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করবো, এই সময়ের মধ্যেই আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই। তিনি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণকে ধরে রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তাঁর শাসনামলে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটা প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে পিজিআর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন স্বাগত বক্তৃতা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছলে রেজিমেন্টের কোয়ার্টার গার্ড-এ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকল অফিসার, জুনিয়র কমিশনন্ড অফিসারদের সঙ্গে এবং কুশলাদি বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে একটি সুসজ্জিত গার্ড রেজিমেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় নিহত, শহীদদের স্বজনদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং অনুদান হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ কর্মকর্তা (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, বীর বিক্রম ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর