তিনি বলেন, আমার মা ওসি আব্দুল আহাদকে অবগত করলে তিনিও তাকে পাল্টা হুমকি ধমকী দেন। ঐদিন রাত ৩টার দিকে আরেকদল পুলিশ বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়। পরদিন রাতে পুলিশ হাবিবুর রহমান হরুহুনার লাশ নিয়ে বাড়িতে এসে জোরপুর্বক দাফনের চেষ্টা করলে গ্রামবাসী বাধাঁ দেন। এক পর্যায়ে তারা ইউপি সদস্য শফিকুর রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এসময় ভাই ফয়জুর রহমানের সন্ধান করতে চাইলে এসআই আবু কাওছার ও এসআই বসির জানায় তিনি পুলিশ হেফাজতেই আছেন।
আব্দুর রহমান বলেন, এ ঘটনার ৪ দিন পর নিরুপায় হয়ে আমার ভাবি ফারহানা বেগম বাদী হয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ, এসআই আবু কাওছার, এসআই বশির, কনস্টেবল পারভেজ, কনস্টেবল রাজ্জাক নুরসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (নং-৩৭১/২০১৭, ২৬/১২/২০১৭)। মামলটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।
মামলা দায়েরের পর থেকে আমাদের প্রানে মারার উদ্দেশ্যে কানাইঘাট থানা পুলিশের সহযোগীতায় চরিপাড়া গ্রামের মামলাবাজ ও ক্রিমিনাল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পরিচয়ধারী জামায়াত নেতা নজমুল হক ও তার বাহীনির অন্যান্যে সদস্যরা মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াত নেতা নজমুলের সাথে শলাপরামর্স করে পুলিশ গত ১৮ এপ্রিল ভাই ফয়জুর রহমানকে নরসিংদী থেকে উদ্ধার করেছে বলে প্রচার চালিয়ে একটি পাইপগানসহ আমাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। মামলাবাজ নজমুল কমান্ডারের প্ররোচনায় তারা আমার ভাইকে ডাকাত সাজিয়ে জেলের মধ্যে রেখেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান বলেন, জামায়াত নেতা নজমুলের সাথে মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই হাবিবুর রহমান হুরুহুনাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তার হয়েই কাজ করছে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলণে অভিযোগ করেন।
সবশেষে তিনি দেশের সাংবাদিক সমাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নিজের ভাইয়ের মুক্তি, হাবিবুর রহমান হুরুহুনা হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার ও পুলিশের অত্যাচার নির্যাতন থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন, তার মা সায়বান বেগম, খালা সিরাজুন বেগম, ও বোন জাকিরা বেগম।