মেহেরপুরের মামলা তুলে না নেয়ায় ঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
মেহেরপুরের গাংনীতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তুলে না নেয়ায় স্ত্রী সন্তান ও শশুর শাশুড়িসহ সকলকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার উদ্যেশে ঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পাষন্ড স্বামী। গত সোমবার দিবাগত মধ্যে রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী ভাটপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল আলিমের মেয়ে তোজগিরা খাতুন জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তার সাথে সাহারবাটি গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শশুরের সাথে মোটা অংকের টাকা যৌতুক নেয় স্বামী আনোয়ার হোসেন। কন্যাসন্তান জন্ম নেয়ার কয়েকমাস পর থেকে আবারো যৌতুক দাবী করেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় প্রায় প্রতিনিয়িত স্বামী শাশুড়ী ও শশুরের নির্যাতন সইতে হতো তাকে। স্বামী শাশুড়ী ও শশুরের নির্যাতন সইতে না পেরে সম্প্রতি তোজগিরা তার পিতার বাড়িতে চলে আসলে। স্বামী আনোয়ার হোসেন অন্য মেয়ের সাথে ২য় বিয়ে করেন। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের নামে মেহেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। মামলার পর থেকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিতে থাকে। ২৮ শে নভেম্বর গতকাল মঙ্গলবার মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেন বিজ্ঞ বিচারক। আদালতে না যেতে পারি এজন্য ঘুমন্তবস্থায় ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষন্ড আনোয়ার। অগুনের শিখা প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে আমার পরিবারকে উদ্ধার করে এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রতিবেশিরা জানায়, আগুন দেখে আমরা যখন ছুটে আসি তখন তোজগিরার স্বামী আনোয়ার আমাদের সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আগুন নিভাতে বিভিন্ন ভাবে ছুটোছুটি করতে থাকায় আনোয়ারকে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অগ্নি সংযোগের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি, অভিযোগ পেলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।