March 19, 2024, 8:50 am

সংবাদ শিরোনাম
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৭ কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় পুলিশ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত মানুষ র‍্যাবের অভিযানে রাজশাহীর বানেশ্বরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের সময় চক্রের মূলহোতা’সহ গ্রেফতার- ৩ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলবদ্ধ হামলা লুটপাট ও ভাঙচুর, রমেকে ভর্তি র‍্যাবের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ফেন্সিডিল ও নগদ অর্থ উদ্ধার’ ০৮ পেশাদার জুয়ারী ও মাদকসেবী গ্রেফতার চিনিকলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতারের সাবেক শিল্পী নাজমুল ইসলামের ইন্তেকাল

মুক্তিযুদ্ধে ২০ জেলায় ৫১২১ গণহত্যা: জরিপ

মুক্তিযুদ্ধে ২০ জেলায় ৫১২১ গণহত্যা: জরিপ

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

দেশের ২০ জেলায় গণহত্যার সংখ্যা পাঁচ হাজার ১শ ২১টি। প্রতিটি গণহত্যায় ৫ থেকে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের জরিপে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এই জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির ট্রাস্টি সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। এর আগে গত বছর ১০ জেলার জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এবার আরও ১০ জেলায় জরিপে পাওয়া তথ্য নিয়ে আয়োজন করা হয় এই সেমিনার। এই ১০ জেলা হলো- গাইবান্ধা, জামালপুর, নড়াইল, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, যশোর, লালমনিরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার ও বরিশাল। গত বছর জরিপ করা ১০টি জেলা হচ্ছে- নীলফামারী, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, কুড়িগ্রাম, পাবনা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, ভোলা এবং খুলনা। ২০টি জেলার বধ্যভূমির সংখ্যা ৪০৪, গণকবর ৫০২টি এবং নির্যাতন কেন্দ্র ৫৪৭টি।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এই জরিপ নিখুঁত এমন দাবি করা সমীচীন নয়। অনেক গণহত্যা, বধ্যভূমি বা গণকবর বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছে। তখন গণহত্যায় মানুষের সংখ্যা হিসাব করেছি, তাও রক্ষণশীল হিসাব। গণনায় ভুল থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা নেই। এখন সময় এসেছে আসলে এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার। এই জরিপ সেই প্রচেষ্টার অংশ। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে পারি, গণহত্যার হিসাব ১৯৭১ সালে যা দেওয়া হয়েছিল সেখানে উদ্বাস্তু শিবিরে মৃত্যুর সংখ্যা ধরা হয়নি। প্রকৃত হিসাব শিবিরের কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। কিন্তু তৎকালীন পত্রিকায় এ সম্পর্কে বীভৎস রিপোর্ট ও ছবি ছাপা হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে এমন মরদেহ কুকুরে খুবলে খাচ্ছে। আমেরিকার লাইফ পত্রিকার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, শকুনরা এসব মৃতদেহ এত খেয়েছে যে তাদের অরুচি ধরে গেছে। সেই সংখ্যা অবশ্য গণহত্যার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন শহীদের সংখ্যা কত দাঁড়ায়।’ এর আগে সকালে উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপের ফলাফল সংক্রান্ত প্রকাশিত ১০টি গ্রন্থ নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনারে দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। খুলনায় জাদুঘর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী জায়গা দিয়েছেন। সেখানে নকশা প্রণয়নের কাজ হয়েছে। সেখানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মিত হবে। অধিবেশন দুটিতে সভাপতিত্ব করবেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. মো. মাহবুবর রহমান ও কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। প্রথম অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর