মানুষ মারার দক্ষতা দেখালেই উপহারে মিলত ‘নারী’৷ উত্তর ইরানের সিনজার থেকে অপহৃত ইয়াজিদি মেয়েদেরকে ‘পুরস্কার’ হিসাবে তুলে দেওয়া হত জঙ্গিদের হাতে৷
সাম্প্রতি আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে সম্প্রতি মুক্তি পায় পেয়েছে ২০০ ইয়াজিদি মহিলা৷ তাঁরাই শোনান অত্যাচারের বিবরণ৷ যা শুনে স্তব্ধ স্তব্ধ গোটা বিশ্ব৷ তাঁরা জানান, জঙ্গি আস্তানায় প্রকাশ্যেই চলত গণধর্ষণ৷ আইএস জঙ্গিদের জন্য রান্না করা, তাদের সেবা করার পাশাপাশি ইয়াজিদি কিশোরী, তরুণীদের যখন-তখন মেটাতে হত জঙ্গিদের যৌন চাহিদা৷ অধিকাংশ সময়ই তাদের গণধর্ষণ করা হত৷ এক হাত থেকে অন্য হাতেও বিক্রি করা হত তাদের৷ চলত নির্মম মানসিক ও শারীরিক অত্যচার৷
গত কয়েক মাসে আইএস জঙ্গিরা উত্তর ইরাকের সিনাজপুর থেকে বিভিন্ন বয়েসর একশোরও বেশি মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে৷ রেহাই পায়নি শিশুরাও৷ গত আট মাস অমানবিক নির্যাতনের পর ২০০ জনকে ছেড়ে দেয় আইএস জঙ্গিরা৷
মসুলের কারাগারে আটক এক ইয়াজিদি মেয়ে তার মাকে জানিয়েছে তার ওপর চালানো পাষবিক নির্যাতনের কথা। মাত্র দুঘন্টায় এক ডজনেরও বেশি আইএস জঙ্গি তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এমনকি কারাগারে অনেক নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাদেরকে একবার সন্তানের চেহারা দেখানো হয় এবং এরপরে আর কখনোই তারা সন্তানের মুখ দেখতে পাননি এবং ভবিষ্যতেও পাবেন না। বলে জানায় আইএস যোদ্ধারা। কারাগারা ১৪ বছরেরও কম বয়সী অনেক কিশোরী রয়েছে বলে জানা গেছে।