রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
প্লাস্টিক নিয়ে দুশ্চিন্তা বিশ্বজুড়ে। আমাদের দেশেও প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধে আইন আছে। কিন্তু প্রয়োগ নেই। এরইমাঝে মানুষের শরীরে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা কথা চিন্তা করেই তিনি এই সচেতনায় নেমেছেন। প্লাস্টিকের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে জনমানুষ সেভাবে সচেতন না। তবে বাবর আলী নামের এক চিকিৎসকের সন্ধান মিলেছে, যিনি প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে হেঁটে দেশ ঘুরছেন। গত ২৫ অক্টোবর তাঁর এ যাত্রা শুরু হয় পঞ্চগড় থেকে। হেঁটে ১২তম জেলা অতিক্রম করে তিনি বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ২০১৯ইং ১৩তম জেলা হিসেবে পৌঁছান রাজশাহীতে। এরআগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কয়েকটি স্কুল ঘুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি সচেতনতামূলক সভা করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী প্রেসক্লাবে তিনি গণমাধ্যম কর্মী ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
চিকিৎসক বাবর আলীর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম বুড়িশ্চর গ্রামে। বাবার নাম লিয়াকত আলী। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বাবর আলী মেজো। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর তিনি কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। এখন চাকরি ছেড়ে জনসচেতনতা তৈরিতে নেমেছেন তিনি। বাবরের লক্ষ্য ৮০ দিনে হেঁটে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা।
বাবর আলী অভিযানের বিষয়ে বলছিলেন, ‘এ অভিযান তরুণদের মাঝে সাড়া ফেলছে। মানুষ জানে না, তারা কী খাচ্ছে। জানার পর অন্য রকম অভিব্যক্তি পেয়েছি মানুষের কাছ থেকে। সঠিকভাবে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারলে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে স্বল্পমূল্যে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেন। বর্তমানে বলবৎ আইনটিও যদি কার্যকর করা যায় তবে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা ও ঝুঁকির লাগাম টানা সম্ভব বলে মনে করেন এই চিকিৎসক অভিযাত্রী।
মতবিনিময়কালে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’র আহবায়ক ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, দ্যা বেইজ ক্যাম্প বাংলাদেশ’র ব্র্যান্ড এম্বাসেডর শাহাদত হোসেন সরকার, সিনিয়র সাংবাদিক এসএম আতিক, এ্যাডভেঞ্চরপ্রেমী তরুণী নাফিসা আক্তার হিয়া।