March 29, 2024, 3:00 am

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

বাণিজ্যের ভারসাম্য বিরাজমান’ ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে

বাণিজ্যের ভারসাম্য বিরাজমান’ ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভারসাম্য প্রায় বিরাজমান। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য রফতানির পরিমাণ ৬৫৮ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬৮৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় চলমান জার্মান-অষ্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে যোগদানরত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আজ শনিবার সেখানকার একটি হোটেলের ‘ক্রাউন বিজনেস বোর্ড রুমে’ অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী সিনেটর মাথিয়াস কোরম্যানের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন।

তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বৃদ্ধি হলে উভয় দেশের বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে।

অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে এ সকল পণ্য আমদানি আরো বাড়াতে পারে।

আজ শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটা মুক্ত্র বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করায় বাণিজ্যমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য লাভজনক স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের যে কোনো একটিতে অস্ট্রেলিয়া বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার সবধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে।

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পলিসি খুবই ভালো উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, এখানে শতভাগ বিনিয়োগ যেমন নিরাপদ তেমনি প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভসহ যে কোনো সময় ফিরিয়েও নেয়া যায়। সরকার আইন প্রণয়ন করে বিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে কার্গো উড়জাহাজ চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো।

অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন,আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

এর আগে আজ শনিবার সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকন টার্নবুল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানীর প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ ‘দ্য ফিউচার অফ গ্লোবাল ট্রেড এগ্রিমেন্টস এ- দ্য রেজাল্টিং অপরচুনিটিস ইন দ্য এমিয়া-প্যাসিফিক’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগ সেশনেও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ট্রেড মিনিস্টার এ্যাড্রিউ রবের সাথেও মত-বিনিময়ের করেন। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফরিদা ইয়াসমিন এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর