লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি::
জামালপুরের বকশীগঞ্জে এক নারীকে উক্ত্যক্ত ঘটনার প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন পরিষদে হামলা, ভাঙচুর ও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের নগদ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে । বুধবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার উপকারভোগীদের “নগদ” একাউন্ট খোলার জন্য সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছিলেন সীমা আক্তার এক নারী কর্মী। স্থানীয় খান পাড়া গ্রামের বাবলু খানের ছেলে মিনাল খান ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ওই নারীকে প্রথমে উত্ত্যেক্ত করেন। ওই নারী ইউনিয়ন পরিষদে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে বিষয়টি জানালে তিনি উত্ত্যেক্তকারী মিনালের কাছে কৈফিয়ত চান। এনিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে মিনালের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকটি নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে খান পাড়া গ্রামের দুই শতাধিক লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মারধর করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায় । এক পর্যায়ে তারা চেয়ারম্যানকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় হামলাকারীরা পরিষদের একটি কম্পিউটার ভাঙচুর করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কাযক্রমের জিআর কর্মসূচির কিছু টাকা লুট করে নেন।
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, আমি ও ট্যাগ অফিসার মিলে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা (জিআর) কার্যক্রমের টাকা বিতরণ করছিলাম। এ সময় স্থানীয় এক ছেলে পরিষদে এসে এক নারীকে উক্ত্যক্ত করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে ছেলেটি তার লোকজন নিয়ে এসে আমার কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করেন এবং নগদ কিছু টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।