March 19, 2024, 3:44 pm

সংবাদ শিরোনাম
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৭ কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় পুলিশ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত মানুষ র‍্যাবের অভিযানে রাজশাহীর বানেশ্বরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের সময় চক্রের মূলহোতা’সহ গ্রেফতার- ৩ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলবদ্ধ হামলা লুটপাট ও ভাঙচুর, রমেকে ভর্তি র‍্যাবের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ফেন্সিডিল ও নগদ অর্থ উদ্ধার’ ০৮ পেশাদার জুয়ারী ও মাদকসেবী গ্রেফতার চিনিকলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতারের সাবেক শিল্পী নাজমুল ইসলামের ইন্তেকাল

নাম বিভ্রাটে একজনের কারাভোগ করছেন অন্যজন

ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামের একাংশ ও স্বামীর নামের মিল থাকায় বিনা দোষে দেড় বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে সাজা খাটছেন হাসিনা বেগম নামে এক নারী। কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর এলাকার হামিদ হোসেনের স্ত্রী হাছিনা বেগমকে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থানায় নিয়ে যায় টেকনাফ থানা পুলিশ।

পরদিন তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। এরপর থেকে সাজা খাটছেন হাছিনা বেগম। কবে,সম্প্রতি এ ঘটনাটি সামনে আসায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে আদালত।

২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকা থেকে ২ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান একই এলাকার হামিদ হোসেনের স্ত্রী হাসিনা আক্তার। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক তিনি।

২০১৯ সালের পয়লা জুলাই হাছিনা আক্তারকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের স্বামীর নাম ও নিজের নামের একাংশের সাথে মিল থাকায় গ্রেপ্তার হন হাছিনা বেগম।

বর্তমানে সাজা খাটা হাসিনা বেগম ও হাসিনা আক্তার একজন নয় বলে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

এবিষয়ে মামলা পরিচালনাকারী চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, ভুক্তভোগীর এবং তার স্বামীর নামের একাংম মিল থাকা পুলিশ তাকে আটক করে। তবে, এখন মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে জানা যাচ্ছে এই হাছিনা বেগম তার গ্রাম বা এলাকার বাইরে কখনো আসেননি। এমনকি সে কখনো টেকনাফ বা কক্সবাজার জেলাতেও যাননি।

এদিকে শুধু নাম বিভ্রাটে নিরপরাধ মানুষের কারাবরণ বিষয়টিকে পুলিশের চরম গাফিলতি হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজনরা।

বিষয়টি নজরে আসায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের রেজিস্ট্রারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে আদালত। আর নামের মিল দেখে নিরাপরাধ ব্যক্তির জেল খাটাকে নিন্দনীয় বলছেন বিশিষ্টজনরা।

 
//ইয়াসিন//

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর