সোহেল রানা,(রাজশাহী) তানোর,প্রতিনিধিঃ
দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যার পরে ওই ব্যক্তির মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সেপটিক ট্যাংক থেকেই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহীর দামকুড়া থানার আসগ্রাম পাটনিপাড়া বিন্দারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছেলেকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, এক বছর আগে সাজ্জাদ আলীর (৬৫) স্ত্রী মারা যান। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করতে চাইলে তাতে রাজি ছিলেন না ছেলে রাসেল আলী ওরফে স্বপন (৩২)। এই আপত্তির জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। স্বপন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও এক ছেলের পিতা। তিনি প্লট আকারে জমি বেচাকেনার ব্যবসা করেন।
এ প্রসঙ্গে দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, বাবা সাজ্জাদ আলী ফের বিয়ে করার জন্য বাড়িতে প্রস্তাব করেছিলেন। বিয়ে করলে আবার সন্তান হতে পারে। এমন হলে সম্পত্তি ভাগাভাগি হবে। এসব ভেবেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন ছেলে। পুলিশের কাছে তিনি এ কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি জানান, গত মঙ্গলবার রাত থেকেই সাজ্জাদ আলীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই মর্মে সাজ্জাদ আলীর ভাই সাজদার রহমান হাদী বুধবার দামকুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই সূত্র ধরে পুলিশ অনেক অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায়ে তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই হত্যাকাণ্ডের সূত্র পাওয়া যায়।
বাড়ির টয়লেটের ট্যাংক থেকে গত বুধবার দিবাগত রাতে সাজ্জাদ আলীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে নিহত ব্যক্তির ভাই সাজদার রহমান থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলেও জানান ওসি।