March 28, 2024, 9:57 pm

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

তারাগঞ্জের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত করতে কমিটি গঠন

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামসুন্নাহারের অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামসুন্নাহার তারাগঞ্জ হাসপাতালে যোগদান করার পর চিকিৎসদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। তাঁর অনিয়ম ও র্দুব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে চিকিৎসকেরা ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ আগস্ট রংপুরের সিভিল সার্জন ও রংপুরের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব বন্টনে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার কারণে একাগ্রতা ও নিষ্ঠা চিকিৎসকদের মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী বহির্ভূতভাবে দায়িত্ব বন্টন করার কারণে মেডিকেল অফিসারগণ তাঁর স্বীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত না হয়ে বর্তমানে হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ক্ষুন্ন হচ্ছে। হাসপাতালে অনিয়মিত উপস্থিতি ও স্বল্প সময়ে অফিসে অবস্থান করার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ ব্যহত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অশোভন আচরণের স্বীকার হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। ফলে নিয়মিত সেবাদান কার্যক্রম ভেঙে পড়ছে। যার কারণে চিকিৎসকদের স্থানীয় জনগণের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসক সহ সকল কর্মীদের মধ্যে চেইন অফ কমান্ড মুখ থুবরে পড়েছে।

এদিকে উপজেলায় করোনার টিকা প্রদানের কাজে নিয়োজিত ৮টি বুথের ১৬জন টিকাদান কর্মী ও ৩২জন স্বেচ্ছাসেবীর ৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ করা হলেও তা এখন স্বেচ্ছাসেবীরা পাননি। টাকা না পাওয়া তাঁরা সিভিল সার্জনকে ২৪ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

গত রোববার তারাগঞ্জ হাসপাতালে পরির্দশনে এসে ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালাক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোঃ খুরশীদ আলম তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের সঙ্গে চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, ও ক্ষতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা বুঝতে পেরে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে চার দিনের মধ্যে হাসপাতালের সমস্যা ও সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য রংপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায়কে নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবর বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনা তদন্তে রংপুরের সিভিল সার্জন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জানতে চাইলে রংপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায় গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বলেন, ‘হাসপাতালের সমস্যা ও সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য গত রোববার মহাপরিচালক স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবীদের অভিযোগ পেয়ে। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করা হবে।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর