ড্রাফটে নিলেও মোহামেডান রাখতে চায় না আজিমকে
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে ৬ ম্যাচে উইকেট ছিল ১৮টি। এবারও প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে মোহাম্মদ আজিমকে দলে নেয় মোহামেডান। কিন্তু লিগ শুরুর আগেই এই পেসারকে তার ক্লাব বলে দিয়েছে, নতুন ক্লাব দেখতে। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই শঙ্কায় আজিম। ক্লাব কর্তৃপক্ষ যদিও আশ্বাস দিচ্ছে ব্যবস্থা করে দেওয়ার।
প্লেয়ার্স ড্রাফটে এবার ‘বি’ ক্যাটেগরিতে ছিলেন আজিম। পারিশ্রমিক ১২ লাখ টাকা।
সোমবার সকালে মোহামেডানের অনুশীলন ছিল মিরপুর একাডেমি মাঠে। কিন্তু আগের দিন রাতে দলের ম্যানেজার ওয়াসিম খান ফোন করে আজিমকে বলে দেন অনুশীলনে আসতে হবে না।
আজিম যদিও এসেছিলেন মাঠে। তবে অনুশীলন করার সুযোগ পাননি। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন তার অনিশ্চয়তার কথা।
“ক্লাব আমাকে বলে দিয়েছেন নতুন দল দেখতে। আমি বললাম, ড্রাফট হয়ে যাওয়ার পর, লিগ শুরুর এত কাছে এসে দল পাব কোথায়? আমাকে বলেছে অনুশীলনে না আসতে। দলে নাকি পেসার বেশি হয়ে গেছে। তাহলে ড্রাফটে নিল কেন? না নিলে তো আমাকে হয়তো অন্য দিল নিত।”
“আমি বলেছি, বাদ দেওয়া তো নিয়মে নেই। না খেলালে আমাকে টাকা দিয়ে দিন বা অন্য ক্লাবে ট্রান্সফার করে দিন। এটা আমার রুটি-রুজির ব্যাপার।”
নিয়ম অনুযায়ী ড্রাফটে নেওয়া ক্রিকেটারদের অন্য ক্লাবের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতায় বদল করা যাবে, তবে চূড়ান্তভাবে স্কোয়াডের বাইরে রাখার সুযোগ নেই।
আজিমকে রাখতে না চাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ম্যানেজার ওয়াসিম খান। তবে জানালেন, অনিশ্চয়তায় তাকে রাখা হবে না।
“আমরা ওকে বলেছি নতুন ক্লাব দেখতে। পাশাপাশি আমরাও দেখছি ওর জন্য কোনো ক্লাব পাওয়া যায় কিনা। ওকে এটাও বলেছি, অন্য কোনো ক্লাব যদি ওকে কম পারিশ্রমিকে নেয়, বাকিটা আমরা দিয়ে দেব।”
ড্রাফট থেকে নেওয়া ক্রিকেটার কেন নিজে থেকে নতুন দল দেখবে, সেই প্রশ্ন উঠল। ওয়াসিম খান আবারও শোনালেন আশ্বাসের কথা।
“অনেক দলই তো জানে না, আমরা ওকে রাখতে চাই না। এজন্য ওকে বলেছি দল দেখতে, আমরাও দেখছি। আর যদি অন্য দল পাওয়া না যায়, তাহলে তো রাখতেই হবে।”
আজিম জানালেন, মোহামেডানের রাখতে না চাওয়ার কথা তিনি লিগের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিসিডিএমকেও জানিয়েছেন। সিসিডিএম তাকে বলেছে লিখিতভাবে জানাতে।