জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এক স্কুলছাত্রী তার মৃত কন্যাসন্তান নিয়ে বৃহস্পতিবার থানায় হাজির হন।এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হলে পরে জানা যায়, ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার কন্যাসন্তান প্রসব করে সে।কিন্তু দুদিন পর গত বৃহস্পতিবার শিশুটি মারা যায়। পরে মৃত সন্তান কোলে নিয়ে ওই কিশোরী থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা করে।ভুক্তভোগী ওই কিশোরী দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ডালবাড়ী এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে তিনি হলেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. রায়হান। তিনি দেওয়ানগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ছাত্র।এ ঘটনার পর অভিযুক্ত রায়হান এবং তার বাবা স্কুল শিক্ষক হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত মাস আগে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে রায়হান। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে রায়হানের বাবা হাবিবুর রহমান মেয়ের গর্ভের সন্তান প্রসবের পর দুজনের বিয়ে সম্পন্ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি ঘটনাটি গোপন রাখার অনুরোধ জানান।ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েটি খুবই সহজ-সরল। এ সরলতার সুযোগে মেয়েটির জীবন যে লম্পট শেষ করেছে আমি তার শাস্তি চাই। আমার মেয়েটির শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।’দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি এমএম মইনুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার একটি মৃত শিশু কোলে নিয়ে ওই কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থানায় মামলা করতে আসে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ নভেম্বর ২০১৯/ইকবাল