March 28, 2024, 9:00 pm

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

জগন্নাথপুরে শিল্প নগরী গড়ে উঠার সম্ভাবনা

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী গড়ে উঠোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা হাওরে কৃষি ইনস্টিটিউট অনুমোদন হওয়ার খবরে চারদিকে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। জগন্নাথপুর পৌর শহরের বুক চিরে আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে গেছে গভীর নলজুর নদী। নদীর এক পাশে মইয়ার হাওর ও আরেক পাশে নারিকেলতলা হাওর। মধ্যস্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক। উত্তরে রয়েছে জগন্নাথপুর পৌর শহর ও দক্ষিণে রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন। এখানে নদী ও হাওর মিলে একাকার হয়ে গেছে। যেন প্রাকৃতিক অপরূপ সৃষ্টি। সড়ক ও নৌপথ সহ অবকাটামো দিক থেকে সুবিধাজনক স্থান হওয়ায় মইয়ার হাওর ও নারিকেলতলা হাওর এখন সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এ দুই হাওরকে কেন্দ্র করে ছোট-বড় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠার অপার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় বিশাল আয়তনের মইয়ার হাওরে সোনার ফসল হলেও বিগত প্রায় ৩ যুগ ধরে হাওরটি পলি মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে অযতœ-অবহেলায় পড়ে আছে। যদিও হাওরের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু মানুষ ছোট ছোট বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া নারিকেলতলা হাওরের অধিকাংশ জমি এখনো আবাদ হলেও অনেক জমি ভরাট হয়ে গেছে। এ দুই হাওরের ভরাট হয়ে যাওয়া ৬ থেকে ৭ হাজার একর জমি যুগযুগ ধরে পতিত রয়েছে।
তবে গত কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় নারিকেলতলা হাওরে ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি ইনস্টিটিউট প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় রীতিমতো হইছই পড়ে গেছে। বড় বড় পুঁজিবাদী ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নজর পড়েছে এ দুই হাওরের জমির উপর। অনেকে মাস্টারপ্লান করছেন ছোট-বড় কলকারখানা নির্মাণের। তাই এসব হাওরে সুবিধাজনক স্থানে জমি কেনা-বেচা নিয়ে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। চারদিকে খোঁজ-খবর চলছে। খোঁজা হচ্ছে জমির মালিকদের। দেখা হচ্ছে জমির সঠিক কাগজপত্র। চলছে দামদর কষাকষি। এরই মধ্যে মাত্র কয়েক দিনের মাথায় জমির দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। জমির দাম যাই হোক এসব জমিতে শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এ অঞ্চল। উন্নয়নের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে জগন্নাথপুর। ১০ অক্টোবর রোববার বিভিন্ন জনের সাথে আলাপকালে এমন অভিমত ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় জনতা।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর