ইয়ানূর রহমান :
কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে ভারতের সীমান্তে বিপরিতে
বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিজিবি। আজ
বৃহস্পতিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে সীমান্তে বিজিবির টহল ব্যবস্থা জোরদার
করা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে বিজিবি। চামড়াবাহী কোনো
যানবাহন সীমান্ত এলাকায় যাতে যেতে না পারে, সেজন্য নজরদারিও বাড়ানো
হয়েছে। রাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় লোকজনের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মুনজুর এলাহী ও
যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম
রেজা জানান, ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে বেনাপোলের বিভিন্ন
সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি। সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল
ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ মণ ওজনের
গরুর চামড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে। অপরদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া
৪০০ থেকে ৬০০ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ৮০০ থেকে হাজার
রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, যশোরের যে সমস্ত সীমান্ত দিয়ে চামড়া
পাচারের সম্ভাবনা থাকে, সে সমস্ত এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বেনাপোলের গাতীপাড়া, বড় আচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা,
পুটখালী ও শার্শার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর,
শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল বাগে জান্নfত কওমি মসজিদের খাদেম আব্দুল ওহাব জানান, এলাকার
মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার
খুবই কম।
তিনি বলেন, ‘গরুর চামড়া ছোট বড় মিলে গড়ে ৪৫০ টাকা দাম পেয়েছি। গত দুই বছর
আগে চামড়ার দাম ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের চামড়ার দাম হয়েছে প্রতি পিস
২০ টাকা।’
ঈদের এক দিন আগে কোরবানির চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের লক্ষ্যে
জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সভা অনুষ্ঠিত
হয়েছিল। সভায় ব্যবসায়ীরা ছাড়াও পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, সদর উপজেলা
প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন সভায় যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছিলেন, ‘বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি করা যাবে না।
হাটে বেচাকেনা করার সময় ওই সড়কে পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে সে দিকেও
খেয়াল রাখতে হবে।