March 29, 2024, 10:54 am

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

কঙ্গোতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব: প্রাণহানির সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে

কঙ্গোতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব: প্রাণহানির সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নতুন ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর গত কয়েক মাসে ৫শ’রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গা কালেঙ্গাকে উদ্ধৃত করে প্রাণহানির এ সংখ্যা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ওলিঙ্গার দাবি, কঙ্গো সরকারের এক ভ্যাকসিন কর্মসূচির সহায়তায় আরও কয়েক হাজার মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গোর উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলা ভাইরাসের নামকরণ। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কঙ্গোর উত্তর কিভু অঞ্চলে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। শুক্রবার কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তখন থেকে সর্বমোট ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৭১ জনকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গা কালেঙ্গা বলেছেন, প্রথমবারের মতো ৭৬,৪২৫ জন মানুষকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকানো গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অঞ্চলের বড় বড় শহরগুলোতে আমরা ইবোলার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পেরেছি।’ ১৯৭৬ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এই নিয়ে দশমবারের মতো কঙ্গোয় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঘটনা ঘটলো। বানর এবং বাদুড়ের মতো বন্য প্রাণী থেকে প্রথম এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। দেহ থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন ধরণের রসের (রক্ত,লালা) মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। ইবোলার উল্লেখযোগ্য কোনও চিকিৎসা নেই। প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ¦র, ডায়রিয়া, বমি, পেশীতে ব্যথা, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক রক্তক্ষরণ। ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঘটনায় এই ভাইরাস প্রাণঘাতী হতে পারে।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর