এবার সৌম্য-জহুরুল জুটিতে বিশ্বরেকর্ড
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
ডাবল সেঞ্চুরির অনন্য কীর্তিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিন রাঙিয়েছেন সৌম্য সরকার। ইতিহাস গড়া এই ইনিংসে ব্যক্তিগত রেকর্ড বেশ কয়েকটি যেমন হয়েছে তার, তেমনি জহুরুল ইসলামকে নিয়ে গড়েছেন জুটির বিশ্বরেকর্ডও!
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের ৩১৭ রান তাড়ায় বিকেএসপিতে মঙ্গলবার উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের খুব কাছে চলে যায় আবাহনী। সৌম্য ও জহুরুল প্রথম জুটিতেই তোলেন ৩১২ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি অষ্টম ট্রিপল সেঞ্চুরির উদ্বোধনী জুটি, সব উইকেট মিলিয়ে ১৫তম তিনশ রানের জুটি। কিন্তু রান তাড়ায় ট্রিপল সেঞ্চুরির জুটি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট দেখল প্রথমবার!
এক সময় আবাহনীর ১০ উইকেটের জয়কে মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। তবে জয় থেকে ৬ রান দূরে আউট হয়ে যান ১০০ রান করা জহুরুল। তিনশর বেশি রান তাড়ায় ১০ উইকেটে জয়ের অবিশ্বাস্য কীর্তি তাই হাতছানি দিয়েও মিলিয়ে যায় শেষ পর্যন্ত।
সহজেই অনুমেয়, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি এটিই। যে কোনো উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির আগের রেকর্ড ছিল মাহবুবুল করিম ও ধীমান ঘোষের। ২০০৭ সালে জাতীয় লিগের একদিনের ম্যাচের সংস্করণে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ২৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের এই দুই ব্যাটসম্যান।
ফতুল্লায় সেদিন ম্যাচে হয়েছিল চার সেঞ্চুরি। জুনায়েদ সিদ্দিক ও আনিসুর রহমানের সেঞ্চুরিতে রাজশাহী তুলেছিল ৩২৯ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ২২ রানে ২ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ৪৩ বল বাকি রেখেই জিতে যায় ৪ উইকেটে। ১২১ বলে ১৪৫ রান করেছিলেন মাহবুবুল, ১০০ বলে ১৪৭ ধীমান।
উদ্বোধনী জুটিতে আগের রেকর্ডটি হয়েছিল গত বছর। সেবারও রেকর্ডটি গড়েছিল আবাহনীর দুই জুটি। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠেই প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক। ৫০ ওভারে সেদিন ৩৯৩ রান তুলেছিল আবাহনী, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো দলের যা সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
** ২০১৩ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে চতুর্থ উইকেটে ২৭৬ রানের জুটির অংশীদারী ছিলেন মুমিনুল হক। তবে বংলাদেশের কেউ নন, তার সঙ্গী ছিলেন শ্রীলঙ্কার রোশেন সিলভা।