March 28, 2024, 6:22 pm

সংবাদ শিরোনাম
র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান ভোলা বোরহানউদ্দিনে নানা আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হলো নবাবগঞ্জে মেধা বিকাশ কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে জমিয়ত সুন্দরগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপণ

উৎসবে সুস্থ থাকতে করনীয়

উৎসবে সুস্থ থাকতে করনীয়

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

ঈদ বা উৎসবে ভারী খাবার খেয়ে অসুস্থ বোধ করার আগেই বরং কম খেয়ে সুস্থ থাকা ভালো।

সাধারণত ঈদুল আজহার পর থেকে মাংস বেশি খাওয়া হয়। মাংস খাওয়ার ¯্রােতে গা ভাসিয়ে দিলে দেখা দেবে নানান শারীরিক জটিলতা। যারা ইতোমধ্যেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই মাংস খাওয়া আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।

এই জটিলতাগুলো থেকে বাঁচার জন্য সাবধান থাকতে হবে সবাইকে। আর উপায়গুলো জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য)।

তিনি বলেন, “গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়ে সবসময়ই একটু সচেতন থাকা উচিত। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া শরীরের জন্য কখনই ভালো নয়।”

বয়স, ওজন, উচ্চতা, কাজ করার ধরণ ইত্যাদি ভেদে মানুষের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে হয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত।

ডা. কামরুল পরামর্শ দেন, “ভরপেট খাওয়া কখনই স্বাস্থ্যসম্মত নয়, সুস্থ সবল মানুষেরও পরিমিত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া উচিত। যাদের হৃদরোগ আছে, হার্টে ব্লক আছে, রক্ত চাপ বেশি, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই তাদের জন্য গরুর মাংস খাওয়াটা বেশ ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে দুতিন টুকরা বা সর্বোচ্চ চার টুকরা মাংস খেতে পারেন। এর বেশি না খাওয়াই ভালো।”

গরুর মাংস গুরুপাক খাবার। এর সঙ্গে ভারী খাবার যেমন পোলাও, কোরমা ইত্যাদি খাওয়া হলে তা আরও বেশি গুরুতর হয়। তাই গরুর মাংস খাওয়ার পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবার যেমন- সবজি, সালাদ ও তাজা ফল ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।

যাদের আলসার বা পিত্তথলিতে পাথরজনিত সমস্যা আছে তাদের গরুর মাংস খেলে খানিকটা অসুবিধা, যেমন- পেটব্যথা, বুক জ¦ালা করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে একটু বেছে খাওয়া উচিত।

অনেকের গরুর মাংসে এলার্জি থাকে। ফলে শরীর ও চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ চুলকায়, শরীরে র‌্যাশ দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা থাকলে যতটা সম্ভব গরুর মাংস এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

অনেকের মনে আবার এই নিয়ে নানা দ্বিমত থাকে যে, ‘বছরে একটা দিন ‘নিয়ত’ করে খাওয়া যায়’- সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ খেয়ে মাংস খাওয়া যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া যাবে না। এটি মারান্তক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ডা. কামরুল বলেন, “উৎসবের দিন অনেক তেল চর্বি ধরনের খাবার খাওয়া হয় যা হজমে অসুবিধা করে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে দ্রুত খাবার হজম হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।”

ছবি: রয়টার্স।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর