লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল
হালিমের ছেলে ডাকাত আজগরের ছোট ভাই বেল্লাল ইয়াবা ব্যবসা করে এলাকার যুব সমাজকে নষ্ট করিতেছে। বেল্লাল এর নামে কোন মামলা নেই পুলিশের খাতায়, কিন্তু তাকে খোজ করেও পাই না পুলিশ। প্রকাশ্য ভাবে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছেন দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়নের বেল্লাল ওরফে মনা। এ কাজে তিনি তার দুটি বন্ধুকে ও ব্যবহার করেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি আছে। একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে চায়ের দোকানের আড়ালে মূলত বেল্লাল ইয়াবার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন। একজন চিহৃত ইয়াবা সেবনকারী জানান, বেল্লাল এ কাজে পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজনকে কমিশনের মাধ্যমে ব্যবহার করেন।তাদের বেশিভাগই ছাত্র পাচারকারী, এলাকার লোকের দাবি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেল্লালের বড় ভাই জানান, তার বাবা ও ভাই প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করছেন। তা সবাই জানে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের নাক না গলালেও চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করলে চাঁদা দিতে হবে,আর চাঁদা না দিলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি। এদিকে প্রকাশ্যে ও শক্তিপ্রয়োগ করে ইয়াবার ব্যবসা করলেও তার নামে থানা ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়িতে কোন মামলা নেই বলে জানাগেছে। এ কারনে বেল্লাল দিন পর দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেল্লাল কাছে জানতে চাইলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, আমি সরকারী দলের নেতা। থানা পুলিশও সব তার প্যাকেটে জানিয়ে অকথ্য ভাষায় এ প্রতিবেদকে গালিগালাজ করেন তিনি। গত শনিবার বেল্লাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্যে নজরুল ইসলামের বসত ঘর ভাংচুর করেন। নজরুল ইসলাম বেল্লালের সন্ত্রাসী বাহিনীকে চাঁদার টাকা না দেওয়া তাহার ঘরে থাকা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মালামাল লুটে নেয় আজগর ও বেল্লাল বাহিনী। বেল্লাল ও তার বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষকে হত্যার হুমকী ধামকী দিচ্ছে। এখন নিরাপত্তায় ভুগিতেছি এলাকার বাসিরা। অভিলম্বে ইয়াবা কারবারি বেল্লালকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের দাবি ওই এলাকায় ডাকাতি ও ইয়াবা কারবারিদের প্রশ্রয় দেয়া হবেনা। এবিষয়ে দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম জানান,বেল্লালের বিরুদ্ধে এলাকা থেকে অনেক অভিযোগ আসে। তার ভাইকে ডাকাতি মামলা কারণে কয়েক বার পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু আদালতের জামিন পেয়ে আবারও এলাকায় এগুলো করিতে।আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলবো তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য।