আবাসন নিশ্চিত করতে ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে: গণপূর্ত মন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আবাসন নিশ্চিত করতে ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোট ২২টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৪৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মাথাপিছু জমির ক্রমহ্রাস, পরিবেশ অবক্ষয় এবং আন্তর্জাতিক বিরাজমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ‘জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-১৯৯৩ (সংশোধিত- ১৯৯৯)’ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংশোধন ও সমন্বয় সাধনপূর্বক একে আরো বেশি কার্যকর ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সরকার জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-২০১৬ প্রণয়ন করে। যা ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এ নীতিমালায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়সীমার মধ্যে আবাসনের দুষ্প্রাপ্যতা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছে।
গৃহায়ন নীতিমালার উদ্দেশ্যগুলো হলো- সবার জন্য উপযুক্ত বাসস্থান ও টেকসই মানব বসতি উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগহ, কারিগরি, নৈতিক ও মানসিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা। দ্বিতীয়ত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশাসন ও মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গৃহায়নের উদ্দেশাবলী প্রয়োগ। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, গৃহায়ন সংক্রান্ত জাতীয় সংবিধান, জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার যথাযথভাবে প্রতিফলন করা, যাতে পশ্চাৎপদ, অবহেলিত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয় এবং দেশের পরিকল্পিত আবাসনের অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম নিতে বিশেষজ্ঞমূলক সেবা দেওয়া যায়।