আন্দোলনকারীদের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে না: নওফেল
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আন্দোলন সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু অরাজকতা বা স্বেচ্ছাচারিতা করা কখনো কারো অধিকার হতে পারে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটি কয়েক আন্দোলনকারীদের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে না। গতকাল শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালটির ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। নওফেল বলেন, আমরা বারবার বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করার জন্য যারা বাইরের অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে অরাজগতা সৃষ্টি করছে তাদের থেকে বিরত থাকুন। তদন্তের পরে আমরা তো একটি ব্যবস্থা নেবো অবশ্যই। কিন্তু এরআগে কারো অধিকার নেই যে শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসের এই অচল অবস্থার সৃষ্টি করা। আমরা অবশ্যই দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবো। তিনি বলেন, গবেষণা ব্যতীত শিক্ষার মান ধরে রাখা কঠিন। এজন্য প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ তারা যেন গবেষণার উপর বেশি জোর দেয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ্ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি বিধিবিধান মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সুনাম রক্ষার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিজেরই তাগিদ ও চেষ্টা থাকতে হবে। এবার সমাবর্তনে ১৮০০ শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। এরমধ্যে চারটি অনুষদ থেকে মোট নয়জন শিক্ষার্থী এ বছর স্বর্ণপদের জন্য মনোনীত হন।তাদের মধ্যে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পান দুইজন ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত তিনজনকে চেয়ারম্যানস গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। এ ছাড়া চার অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত চারজন পান ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল। সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিজ জোয়েস ওয়্যাগানার, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মোগল, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্যঅধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।